Dhaka , রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লক্ষীপুরে  বৃদ্ধা মহিলাকে জবাই করে হত্যা লক্ষ্মীপুর মাদরাসার টয়লেটে থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার,অটক -১ কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুই দফা না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীদের কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন  ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশায় কৃষক; কোটি কোটি টাকা লোকসান লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন বিভক্তির দাবিতে ফুুঁসে উঠেছে জনগণ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলনগরে অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর লাইভ নিয়ে নানা প্রশ্ন  কমলনগরে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

মুক্তিযোদ্ধার জমির উপর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার,পরিবারের স্বস্তি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • ২৭৫ Time View

স্টাপ রিপোর্টার :লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে দীর্ঘ ৫২বছর ওয়ারিশসূত্রে ও খরিদসূত্রে মালেকীয়, দখলীয় সম্পত্তির উপর জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে আদালত।
বুধবার (৫জুন) লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রিয়াংকা দত্ত এই আদেশ প্রদান করেন।
জানাযায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ এর খরিদ ও ওয়ারিশসূত্রে মালিক ৩০শতাংশ জমি গত ৫২বছর যাবত ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। এর মাঝে সড়ক বিভাগ ৩শতাংশ জমি সড়কের জন্য নিয়া যায়। বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ তাহার জীবদ্দশায় ২০১৮সালে এই ২৬শতাংশ জমি তার ছোট মোহাম্মদ ফয়সালকে হেবা ঘোষণা করে। পববর্তীতে ফয়সাল তার নামে নামজারি করে এতদিন পর্যন্ত ভোগ দখলে আছে। সম্প্রতি আরএস খতিয়ানে ভূলক্রমে ১০শতাংশ জমি পশ্চিম লতিফপুরের নজির আহম্মদের নামে খতিয়ান হয়ে যায়। চুড়ান্ত খতিয়ান আসলে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোহাম্মদ ফয়সাল খতিয়ান সংশোধনের জন্য লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করে ২০২৩ সালে, যাহা এখনো চলমান।
খতিয়ানে ভূলবশত নজির আহম্মদের নামে খতিয়ান হওয়ায় তাহার ছেলেরা জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নজির আহম্মদের ছেলে ইসমাইল হোসেন মিছ মামলা দায়ের করে।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে বুধবার (৫জুন) লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রিয়াংকা দত্ত আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান থাকায় উক্ত মিছ মামলা ২৮৪/২৪ প্রত্যাহার পূর্বক মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন।
এছাড়াও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এই আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করেন।
এদিকে মামলার রায়ের সংবাদ পেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আনন্দ উচ্ছাস দেখা যায় এবং তারা ন্যায় বিচার পেয়েছে বলে জানান।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

লক্ষীপুরে  বৃদ্ধা মহিলাকে জবাই করে হত্যা

মুক্তিযোদ্ধার জমির উপর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার,পরিবারের স্বস্তি

Update Time : ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

স্টাপ রিপোর্টার :লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে দীর্ঘ ৫২বছর ওয়ারিশসূত্রে ও খরিদসূত্রে মালেকীয়, দখলীয় সম্পত্তির উপর জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে আদালত।
বুধবার (৫জুন) লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রিয়াংকা দত্ত এই আদেশ প্রদান করেন।
জানাযায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ এর খরিদ ও ওয়ারিশসূত্রে মালিক ৩০শতাংশ জমি গত ৫২বছর যাবত ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। এর মাঝে সড়ক বিভাগ ৩শতাংশ জমি সড়কের জন্য নিয়া যায়। বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ তাহার জীবদ্দশায় ২০১৮সালে এই ২৬শতাংশ জমি তার ছোট মোহাম্মদ ফয়সালকে হেবা ঘোষণা করে। পববর্তীতে ফয়সাল তার নামে নামজারি করে এতদিন পর্যন্ত ভোগ দখলে আছে। সম্প্রতি আরএস খতিয়ানে ভূলক্রমে ১০শতাংশ জমি পশ্চিম লতিফপুরের নজির আহম্মদের নামে খতিয়ান হয়ে যায়। চুড়ান্ত খতিয়ান আসলে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোহাম্মদ ফয়সাল খতিয়ান সংশোধনের জন্য লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করে ২০২৩ সালে, যাহা এখনো চলমান।
খতিয়ানে ভূলবশত নজির আহম্মদের নামে খতিয়ান হওয়ায় তাহার ছেলেরা জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নজির আহম্মদের ছেলে ইসমাইল হোসেন মিছ মামলা দায়ের করে।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে বুধবার (৫জুন) লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রিয়াংকা দত্ত আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান থাকায় উক্ত মিছ মামলা ২৮৪/২৪ প্রত্যাহার পূর্বক মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন।
এছাড়াও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এই আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করেন।
এদিকে মামলার রায়ের সংবাদ পেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আনন্দ উচ্ছাস দেখা যায় এবং তারা ন্যায় বিচার পেয়েছে বলে জানান।