প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের তালিকায় নিজেদের নাম রাখার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারিছ মিয়া এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাসান মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (২ মে) উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের নগদ আড়াই হাজার টাকার তালিকায় ইউপি সদস্য হারিছ মিয়া এবং হাছান মিয়া নিজেদের নাম বসিয়ে নেন। তালিকার ২৪৭ নম্বরে হারিছ মিয়ার, ৬১৭ নম্বরে রয়েছে হাসান মিয়ার নাম। ওই দুই জনই নিজেদের পেশার ঘরে নির্মাণ শ্রমিক লিখেছেন। অনুসন্ধানে তালিকায় নানা অসঙ্গতি পায় উপজেলা প্রশাসন।
পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওই দুই সদস্য তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে হারিছ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, কীভাবে কী হয়েছে সেটা তিনি জানেন না। তাড়াহুড়া করে তালিকা করতে গিয়ে ভুল হয়ে থাকতে পারে। তিনি দিনমজুর নন বলেও স্বীকার করেছেন।
হাসান মিয়া বলেন, ‘আমি সহজ সরল মানুষ। স্বাক্ষর করতে পারি না। গ্রামের মানুষ আমারে মেম্বার বানিয়েছে। আপনি তদন্ত করে দেখেন কেও বলতে পারবে না আমি খারাপ মানুষ। এটা কীভাবে কী হয়েছে, আমি বুঝতে পারছি না। এ ঘটনা জানার পর তিন দিন ধরে আমার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ।’