নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া তার এক ফেসবুক পোস্টে লক্ষ্মীপুর পৌর বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন-
আমি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি ১২ ডিসেম্বর ২০২১। যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২৭ কোটি টাকার অধিক পৌরসভার ঋন এবং পৌরসভা স্টাফদের ১১ মাসের ৮ কোটি টাকা বেতন বকেয়া ছিলো। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিলো ৪ কোটি টাকা।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নতুন বিধায় প্রথমত ঋন নিয়ে চলতে হিমশিম খেয়ে যাই। সেখান থেকে যতটুকু সম্ভব ওভারকাম করার চেষ্টা করেছি, তারপর উন্নয়নের কথায় আসি আপনারা জানেন শেষ ৭/৮ বছরের মধ্যে পৌরসভার কোন রাস্তার সংস্করণ হয়নি। যেহুতু বিগত এতগুলো বছর কোনো রাস্তা সংস্করণ হয়নি সেহুতু বলা যায় ৮০-৯০ ভাগ রাস্তার বেহাল দশা। সেখান থেকে ১ বছর ৮ মাসে সব গুলো রাস্তা তো আর নতুন করণ কারো পক্ষেই সম্ভব নয়!!
এই ১ বছর ৮ মাসে পৌরসভার মেয়র হিসেবে যতটুকু সম্ভব হয়েছে করার চেষ্টা করেছি, তার মধ্যে অনেক কাজ চলমান ও প্রক্রিয়াধীন। কোভিড রিকোভারি প্রজেক্ট- ৭ নং ওয়ার্ড, হসপিটাল রোডের ৪১০ মিটার ড্রেন ও রাস্তার মেরামত সহ ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজ চলমান।
কভিড রিকভারি প্রজেক্ট- ৬ং ওয়ার্ড, শিল্পি কলোনি, সোনালী কলোনি ও দলিল উদ্দিন সড়কে ৭৮০ মিটার ড্রেন ও প্রায় ১ কি.মি রাস্তা সংস্করণ চলমান।
Covid Recovery প্রজেক্টের আরো দুটি কাজ আগামী ০৩ মাসের মধ্যে কাজের মধ্যে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড মিয়াবাড়ি রোডের ২ কোটি টাকা ব্যায়ে কাজ চলমান হবে।
Covid Recovery প্রকল্পের ৭ নং ওয়ার্ডে শেখ রাসেল সড়কে ৮০০ মিটার রাস্তা ও ড্রেন ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান কাজ ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হবে।Covid Recovery প্রকল্পের আওতায় ল ইয়ার্স কলোনির রাস্তা ও ড্রেন ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে।
লক্ষ্মীপুর মাছ ও সবজি বাজার আধুনিক করণ হিসেবে বাজারের কিচেন মার্কেটের কাজ চলমান।
লক্ষ্মীপুর ১০ নং ওয়ার্ডে পানির টাংকির জন্য ৫০ শতাংশ জমি নেওয়া হয়েছে এবং পানির টাংকির জন্য প্রজেক্ট প্রস্তাবনায় কাজ শেষের পর্যায়ে। টেন টাউন প্রকল্পের জন্য ১ একর জমি পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করে উক্ত প্রকল্প ৫০ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
লক্ষ্মীপুর পৌরবাসি একসময় পানির লাইনে প্রতি মাসে বিল-ই দিত পানি পেত না, সেখান থেকে পানি সরবারাহের জন্য ২.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরবাসির পানির সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে। এছাড়া RUTDP প্রজেক্টের আওতায় পৌর ১০ নং ওয়ার্ডে ডিবি রোড, দিশারি টু মুক্তিগঞ্জ, মোটকা মসজিদ টু পলিটেকনিক পযন্ত ৪ কি.মি রাস্তা ও ৪ কি.মি ড্রেন ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান আগামী দুই মাসের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরু করবে। সেটি হলে ১০ নং ওয়ার্ডের রাস্তা ও বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
UGIIP -III প্রকল্পের আওতায় স্লাম উন্নয়ন কাজ
২নং ওয়ার্ডের বিরা গাজী সর্দার বাড়ি
৬নং ওয়ার্ডের চুন্নী ব্যাপারী বাড়ি ১৩ নং ওয়ার্ডের পাঠান বাড়ি কাজ, মোট= ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
কভিড রিকভারি প্রকল্পে পৌর ০৪ নং ওয়ার্ডে মালগাজী রোড থেকে জনকল্যান স্কুল রাস্তা ও ড্রেন প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান হবে আগামী ডিসেম্বরে। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে ও এডিপি বরাদ্দে পৌরসভার ১৫ টা ওয়ার্ডে বাড়ি এবং মসজিদের রাস্তার নির্মান হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে।
RUTDP প্রকল্পে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় আরো ১৫ টি রাস্তা এবং আরো কিছু প্রকল্প যেগুলো ৫ বছরে বাস্তবায়ন হবে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নিজস্ব ভবন বিগত মেয়রের আমলে যেটি একপ্রকার বিক্রি করে ফেলছে সেটি ভবন নির্মানের জন্য জমি নির্ধারণ ও ক্রয় প্রক্রিয়া চলমান।
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের বৃহত্তম জাতির পিতার মুরাল স্থাপন ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করেছি, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ মাঠে। এত গুলো কাজ নির্মান বাস্তবায়ন, চলমান ও প্রক্রিয়াধীন আছে কিন্তু ১ বছর ৮ মাসের মধ্যে বিগত এতো অচলায়তন ও দুর্নিতির অবস্থা এতো তাড়াতাড়ি ঢেলে সাজানোটা সহজ নয়।
তবুও সকলের সহযোগিতায় আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতায় একটি সুন্দর আধুনিক শহর গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ। পৌরবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করি।