লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ঝালকাঠি থেকে ঢাকাগামী কর্মজীবী যাত্রীরা কেবিন টিকিট পাচ্ছেন না। সব লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বুকিং শেষ হয়েছে বলে যাত্রীদের লঞ্চ বুকিং অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেবিন না পেয়ে অনেক যাত্রী ডেকেও চাদর বিছিয়ে নিজের আসন ঠিক রাখছেন সকাল থেকেই। ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
ঝালকাঠি লঞ্চ বুকিং অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ঝালকাঠি ঘাট থেকে সন্ধ্যায় লঞ্চ ছেড়ে গেলেও সকালের মধ্যেই কেবিনের টিকিট বুকিং শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চের কিছু কর্মচারী বেশি দামে কেবিনের টিকিট বিক্রি করার জন্য বেনামে বুকিং দিয়ে রেখেছে। প্রথমে কেবিন নেই জানিয়ে পরে ডেকে নিয়ে বেশি মূল্যে কেবিন দেওয়া যাবে বলে জানায় তারা। যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ মূল্যে কেবিন বুকিং দেয়।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝালকাঠি থেকে প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ ছেড়ে যায় চাঁদপুর ও ঢাকার উদ্দেশে। আবার ঢাকা থেকেও একটি লঞ্চ আসে এখানে। এর মধ্যে একটি সুন্দরবন-১২ অপরটি ফারহান-৭ লঞ্চ। সুন্দরবন লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা ৬৪০, কেবিনে আসন রয়েছে ৯৮টি। ফারহানের ধারণ ক্ষমতা ৬৩৯, কেবিনের আসন রয়েছে ৯৬টি। দুটি লঞ্চেই ঝালকাঠি থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য আগাম কেবিন বুকিং হয়ে গেছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই লঞ্চে ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ করেই লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয় ঘাট সুপারভাইজাররা দাবি করেছেন, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই লঞ্চ ছাড়া হবে। এখানে জীবাণুনাশক স্প্রে থাকবে, রাখা হবে বিশেষ নজরদারি।
সাগর নামে এক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট নিতে গিয়ে জানতে পারেন কেবিন অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘লঞ্চ ছাড়ার খবর শুনেই টিকিট শেষ হয়ে গেছে। ভিড়ের মধ্যে যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে যাবে!’