হোমওয়ার্ক না করায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ আছে ভারতের বিভিন্ন স্থানে। আর এবার সেসব ঘটনাকে ছাপিয়ে গেল বিহারের একটি ঘটনা। ছাত্রকে শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হলেন না শিক্ষক, ক্ষোভে ছাত্রকে স্কুলের দোতলার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিলেন।নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার কল্যাণপুরে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।
ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করার জন্য দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিলেন শিক্ষক। ছাত্রটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মতিহারী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।
পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে। ওই ছাত্র কল্যাণপুরের বাকরপুরে অবস্থিত প্রীতম প্রীত পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী।
ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ জানান ছাত্রটির বাবা চন্দ্রভূষণ যাদব। তার ভিত্তিতে দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুমন কুমার চৌরাসিয়া ঘটনাস্থল থেকে পলাতক বলে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর বয়সী ওই ছাত্রকে চিকিৎসার পর মতিহারী সদর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বেশ কয়েক জায়গায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে শিশুটি। তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোমওয়ার্ক না করার জন্য ওই ছাত্রকে মারধর করার পর ওই শিক্ষক তাকে ছাদে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে তাকে ফেলে দেন।
শিশুটির মামা অভিযোগ করেছেন, ‘হোমওয়ার্ক না করার জন্য ওই শিক্ষক তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছেন। আমরা এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তার শরীরে বেতের আঘাতের দাগও রয়েছে।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস