Dhaka , সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করতে চান কাতারের প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • ১১২ Time View

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক  করতে চান কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জাসিম আল থানি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে দোহার র‌্যাফলস টাওয়ারে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ড. মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাতার বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও অগ্রসর করে নিয়ে যেতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের কাছে জ্বালানি সহায়তা চান।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, আমরা আপনাদের কাছ অনেক জ্বালানি ক্রয় করি। আমরা জ্বালানির বিষয়ে কাতারের সহায়তা চাই। এ প্রসঙ্গে তারা (কাতার) অঙ্গীকার করেছে যতটুকু যেভাবে সম্ভব তারা সহায়তা করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতারে বাংলাদেশের অনেক লোক কাজ করে। এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মানুষগুলো তাদের সম্পদ।

ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর কাতারে অনেক প্রবাসীর চাকরি হারানোর আশঙ্কার কথা জানিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে আতঙ্কিত ফুটবল খেলা শেষে তাদের চাকরি চলে যাবে।

এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালিরা এখানেই থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের সহযোগী। আমরা যতদূর পারি তাদের আমাদের দেশে রাখবো।

ড. মোমেন বলেন, এটা (কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস) আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুব ভালো বিষয়।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল লুসাইল সিটির হোটেল ওয়ালডর্ফ অ্যাস্তোরিয়ায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বৈঠকেও জ্বালানি ইস্যুটি আলাপ হয়েছে। কাতার থেকে জ্বালানি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, ২০১৭ সালে কাতার থেকে জ্বালানি নেওয়ার বিষয়ে ১৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তিটি অত্যন্ত সুদূর প্রসারী ও বুদ্ধিমানের কাজ ছিল।

কাতার থেকে আরও জ্বালানি নিতে নতুন চুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল থেকে কাতার থেকে আরও জ্বালানি পেতে হলে এখনই চুক্তি করতে হবে। শিগগিরই এ চুক্তি সই হবে।

জ্বালানি ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্য ছাড় বিষয়ে আলাপের কথা জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, কাতার বলেছে বাংলাদেশ বন্ধু দেশ, দুর্দিনের সময় বাংলাদেশ তাদের পাশে ছিল। সুতরাং তারা যত ধরনের ছাড় দেওয়া যায় তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। সুত্র: বাংলা নিউজ

Tag :
About Author Information

Happy Times

লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন

বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করতে চান কাতারের প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক  করতে চান কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জাসিম আল থানি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে দোহার র‌্যাফলস টাওয়ারে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ড. মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাতার বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও অগ্রসর করে নিয়ে যেতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের কাছে জ্বালানি সহায়তা চান।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, আমরা আপনাদের কাছ অনেক জ্বালানি ক্রয় করি। আমরা জ্বালানির বিষয়ে কাতারের সহায়তা চাই। এ প্রসঙ্গে তারা (কাতার) অঙ্গীকার করেছে যতটুকু যেভাবে সম্ভব তারা সহায়তা করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতারে বাংলাদেশের অনেক লোক কাজ করে। এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মানুষগুলো তাদের সম্পদ।

ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর কাতারে অনেক প্রবাসীর চাকরি হারানোর আশঙ্কার কথা জানিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে আতঙ্কিত ফুটবল খেলা শেষে তাদের চাকরি চলে যাবে।

এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালিরা এখানেই থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের সহযোগী। আমরা যতদূর পারি তাদের আমাদের দেশে রাখবো।

ড. মোমেন বলেন, এটা (কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস) আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুব ভালো বিষয়।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল লুসাইল সিটির হোটেল ওয়ালডর্ফ অ্যাস্তোরিয়ায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বৈঠকেও জ্বালানি ইস্যুটি আলাপ হয়েছে। কাতার থেকে জ্বালানি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, ২০১৭ সালে কাতার থেকে জ্বালানি নেওয়ার বিষয়ে ১৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তিটি অত্যন্ত সুদূর প্রসারী ও বুদ্ধিমানের কাজ ছিল।

কাতার থেকে আরও জ্বালানি নিতে নতুন চুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল থেকে কাতার থেকে আরও জ্বালানি পেতে হলে এখনই চুক্তি করতে হবে। শিগগিরই এ চুক্তি সই হবে।

জ্বালানি ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্য ছাড় বিষয়ে আলাপের কথা জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, কাতার বলেছে বাংলাদেশ বন্ধু দেশ, দুর্দিনের সময় বাংলাদেশ তাদের পাশে ছিল। সুতরাং তারা যত ধরনের ছাড় দেওয়া যায় তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। সুত্র: বাংলা নিউজ