Dhaka , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আনন্দ টিভির,বহিস্কৃত ডিএনই কর্তৃক এইচ,আর (এড‌মিন)কে হুম‌কি, থানায় জিডি লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে বাদিনীকে হুমকি অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আনন্দ টিভি থেকে বরখাস্ত হলেন ‘প্রশান্ত’ গণঅভ্যুত্থান যখন হয় এটা আইন মেনে চলে না এটা আইন ভাঙার জন্য হয়:ফরহাদ মজহার লক্ষ্মীপুরে গুলীবিদ্ধ আমিনার শয্যাপাশে জামায়াত নেতা :ড.রেজাউল লক্ষ্মীপুরে বিএনপি দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ১ শহিদদের রক্তের বদলা নিতে ‘যে অঙ্গীকার’ করলেন শিবির সভাপতি আ.লীগ নিষিদ্ধে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না : মাহফুজ আলম বাংলাদেশেকে নিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে: এ্যানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : ফয়েজ আহম্মদ

সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী বাবলু গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকা জুড়ে ক্ষোভ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১৬ Time View
নূর মোহাম্মদঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার ৯ দিন পার হলেও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অভিযুক্ত কাজী বাবলু চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এবং থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল  বলেন, কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

এ বিষয়টি আমি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগকে অবহিত করেছি। দল থেকে তাকে অব্যাহতির বিষয়ে একটি সুপারিশপত্র পাঠানোর জন্য আমাকে বলেছে।

পত্র পাঠিয়েছি। আশা করি দুই এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সজিব হত্যার বিচার ও প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর বিচারের দাবি জানিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১দিকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন করে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ ও কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ। এ সময় থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা কাজী বাবলুর ফাঁসির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেই সঙ্গে বাবলু গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বক্তারা। তাকে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, সহ-সভাপতি এম. ছাবির আহম্মেদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ হোসেন জয়, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমানসহ অনেকে।

চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, হত্যাকারী বাবলুকে আইনের আওতায় আনতে আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এছাড়া তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেন, হত্যাকারী ডাকাত বাবলুকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহম্মেদ বাবলু বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। বাবলু চন্দ্রগঞ্জ বাজারে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। সে মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। হামলা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজিব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে সজিবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিবের মৃত্যু হয়।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও তার বাহিনীর সদস্যরা সজিবকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের।

এ ঘটনায় গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনার অভিযুক্ত তাজু ভুঁইয়া, ফারুক হোসেন, রেজাউল করিম বাবু ও ইব্রাহিমসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ মামলার পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

আনন্দ টিভির,বহিস্কৃত ডিএনই কর্তৃক এইচ,আর (এড‌মিন)কে হুম‌কি, থানায় জিডি

সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী বাবলু গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকা জুড়ে ক্ষোভ

Update Time : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
নূর মোহাম্মদঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার ৯ দিন পার হলেও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অভিযুক্ত কাজী বাবলু চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এবং থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল  বলেন, কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

এ বিষয়টি আমি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগকে অবহিত করেছি। দল থেকে তাকে অব্যাহতির বিষয়ে একটি সুপারিশপত্র পাঠানোর জন্য আমাকে বলেছে।

পত্র পাঠিয়েছি। আশা করি দুই এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সজিব হত্যার বিচার ও প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর বিচারের দাবি জানিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১দিকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন করে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ ও কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ। এ সময় থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা কাজী বাবলুর ফাঁসির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেই সঙ্গে বাবলু গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বক্তারা। তাকে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, সহ-সভাপতি এম. ছাবির আহম্মেদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ হোসেন জয়, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমানসহ অনেকে।

চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, হত্যাকারী বাবলুকে আইনের আওতায় আনতে আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এছাড়া তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেন, হত্যাকারী ডাকাত বাবলুকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহম্মেদ বাবলু বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। বাবলু চন্দ্রগঞ্জ বাজারে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। সে মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। হামলা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজিব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে সজিবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিবের মৃত্যু হয়।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও তার বাহিনীর সদস্যরা সজিবকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের।

এ ঘটনায় গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনার অভিযুক্ত তাজু ভুঁইয়া, ফারুক হোসেন, রেজাউল করিম বাবু ও ইব্রাহিমসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ মামলার পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।