Dhaka , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আনন্দ টিভির,বহিস্কৃত ডিএনই কর্তৃক এইচ,আর (এড‌মিন)কে হুম‌কি, থানায় জিডি লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে বাদিনীকে হুমকি অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আনন্দ টিভি থেকে বরখাস্ত হলেন ‘প্রশান্ত’ গণঅভ্যুত্থান যখন হয় এটা আইন মেনে চলে না এটা আইন ভাঙার জন্য হয়:ফরহাদ মজহার লক্ষ্মীপুরে গুলীবিদ্ধ আমিনার শয্যাপাশে জামায়াত নেতা :ড.রেজাউল লক্ষ্মীপুরে বিএনপি দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ১ শহিদদের রক্তের বদলা নিতে ‘যে অঙ্গীকার’ করলেন শিবির সভাপতি আ.লীগ নিষিদ্ধে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না : মাহফুজ আলম বাংলাদেশেকে নিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে: এ্যানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : ফয়েজ আহম্মদ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যকে হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩
  • ১২৫ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ৮ নং দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
নিহত খোরশেদ আলম মিরন দত্তপাড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন।

আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ (সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার সময় পাশর্^বতী হাজীর পাড়া ইউনিয়নের আওলাদাতপুর গ্রামে স্থানীয় চা-দোকানে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা এসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিরন। এ ঘটনায় নিহত মিরনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে ৩০ সেপ্টেম্ব চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে হত্যা কান্ডের সাথে সম্প্রীক্ত থাকায় ২৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার মধ্যে আসামী খোরশেদ আলম,শাহাদাত, ইলিয়াস কোবরা, সন্ত্রীদের হাতে গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে রেহায় পান। দীর্ঘ শুনানী সাক্ষগ্রহন শেষে আদলত বাকি ২২ জনের মধ্যে ১১ জন দুষিসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপর ১১ জন আসামীকে বে কসুর খালাস দিয়েছেন আদলত। রায়ের সময় যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত মিলন ও রুবেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

আনন্দ টিভির,বহিস্কৃত ডিএনই কর্তৃক এইচ,আর (এড‌মিন)কে হুম‌কি, থানায় জিডি

লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যকে হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

Update Time : ০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ৮ নং দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদ- প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
নিহত খোরশেদ আলম মিরন দত্তপাড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন।

আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ (সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার সময় পাশর্^বতী হাজীর পাড়া ইউনিয়নের আওলাদাতপুর গ্রামে স্থানীয় চা-দোকানে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা এসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিরন। এ ঘটনায় নিহত মিরনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে ৩০ সেপ্টেম্ব চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে হত্যা কান্ডের সাথে সম্প্রীক্ত থাকায় ২৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার মধ্যে আসামী খোরশেদ আলম,শাহাদাত, ইলিয়াস কোবরা, সন্ত্রীদের হাতে গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে রেহায় পান। দীর্ঘ শুনানী সাক্ষগ্রহন শেষে আদলত বাকি ২২ জনের মধ্যে ১১ জন দুষিসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপর ১১ জন আসামীকে বে কসুর খালাস দিয়েছেন আদলত। রায়ের সময় যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত মিলন ও রুবেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।