Dhaka ০৯:৫২:০৭ পিএম, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আনন্দ টিভির,বহিস্কৃত ডিএনই কর্তৃক এইচ,আর (এড‌মিন)কে হুম‌কি, থানায় জিডি লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে বাদিনীকে হুমকি অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আনন্দ টিভি থেকে বরখাস্ত হলেন ‘প্রশান্ত’ গণঅভ্যুত্থান যখন হয় এটা আইন মেনে চলে না এটা আইন ভাঙার জন্য হয়:ফরহাদ মজহার লক্ষ্মীপুরে গুলীবিদ্ধ আমিনার শয্যাপাশে জামায়াত নেতা :ড.রেজাউল লক্ষ্মীপুরে বিএনপি দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ১ শহিদদের রক্তের বদলা নিতে ‘যে অঙ্গীকার’ করলেন শিবির সভাপতি আ.লীগ নিষিদ্ধে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না : মাহফুজ আলম বাংলাদেশেকে নিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে: এ্যানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : ফয়েজ আহম্মদ

রামগঞ্জ মাদরাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ২ শিক্ষক গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • ১০১ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি:  লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কামরুল ইসলাম শুভ (১৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শাফায়েত হোসেন (৪৫) ও মোস্তফা কামালকে (৩৮) নামের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সৌপর্দ করা হয়।

গতকাল রোববার রাতে আসামিদের গ্রেপ্তার করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শুভর মা রেখা আক্তার।

গ্রেফতারকৃত আসামি শাফায়েত রামগঞ্জ উপজেলার কাওয়ালিডাঙ্গা গ্রামের মৃত নবী উল্যার ছেলে। অপর আসামি মোস্তফা ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৈরাটি গ্রামের ছফির উদ্দিনের ছেলে। তারা রামগঞ্জ মোহাম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সের শিক্ষক।

এজাহার সূত্র জানায়, শুভ রামগঞ্জ উপজেলার সাউধেরখীল গ্রামের ভূঁইয়া গাজী ব্যাপারী বাড়ির দুবাই প্রবাসী কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় মোহাম্মদীয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সে হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। মাদরাসায় আবাসিকে থেকেই পড়ালেখা করতেন শুভ। গতকাল রোববার সকালে মাদরাসা থেকে শিক্ষক মোস্তফা কামাল মোবাইল ফোনে কল দিয়ে রেখা আক্তারকে শুভর অসুস্থতার কথা জানান। শুভকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে তাকে দ্রুত আসতে বলেন। তখন রেখা আক্তার তার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন ওই শিক্ষককে। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে শুভর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় রেখা আক্তার তার ছেলে শুভর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তার ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগে তিনি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহতের মা রেখা বেগমের দায়েরকৃত মামলায় দুই শিক্ষককে মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার পর মাদরাসা শিক্ষক মো. সাফায়েত সাংবাদিকদের জানান, শুভ ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়েছে। পরে সে ক্লাসরুমে আসে। কিছুক্ষণ পড়ার পর শিক্ষককে জানিয়েছে তার মাথা ব্যাথা করছে। তার মাথায় মলম লাগিয়ে বিশ্রামে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর শুভকে নাস্তার খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে তার মুখ দিয়ে লালা ঝড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুভর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এছাড়া শুভকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামগঞ্জ থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

আনন্দ টিভির,বহিস্কৃত ডিএনই কর্তৃক এইচ,আর (এড‌মিন)কে হুম‌কি, থানায় জিডি

রামগঞ্জ মাদরাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ২ শিক্ষক গ্রেপ্তার

Update Time : ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:  লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কামরুল ইসলাম শুভ (১৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শাফায়েত হোসেন (৪৫) ও মোস্তফা কামালকে (৩৮) নামের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সৌপর্দ করা হয়।

গতকাল রোববার রাতে আসামিদের গ্রেপ্তার করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শুভর মা রেখা আক্তার।

গ্রেফতারকৃত আসামি শাফায়েত রামগঞ্জ উপজেলার কাওয়ালিডাঙ্গা গ্রামের মৃত নবী উল্যার ছেলে। অপর আসামি মোস্তফা ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৈরাটি গ্রামের ছফির উদ্দিনের ছেলে। তারা রামগঞ্জ মোহাম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সের শিক্ষক।

এজাহার সূত্র জানায়, শুভ রামগঞ্জ উপজেলার সাউধেরখীল গ্রামের ভূঁইয়া গাজী ব্যাপারী বাড়ির দুবাই প্রবাসী কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় মোহাম্মদীয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সে হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। মাদরাসায় আবাসিকে থেকেই পড়ালেখা করতেন শুভ। গতকাল রোববার সকালে মাদরাসা থেকে শিক্ষক মোস্তফা কামাল মোবাইল ফোনে কল দিয়ে রেখা আক্তারকে শুভর অসুস্থতার কথা জানান। শুভকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে তাকে দ্রুত আসতে বলেন। তখন রেখা আক্তার তার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন ওই শিক্ষককে। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে শুভর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় রেখা আক্তার তার ছেলে শুভর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তার ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগে তিনি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহতের মা রেখা বেগমের দায়েরকৃত মামলায় দুই শিক্ষককে মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার পর মাদরাসা শিক্ষক মো. সাফায়েত সাংবাদিকদের জানান, শুভ ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়েছে। পরে সে ক্লাসরুমে আসে। কিছুক্ষণ পড়ার পর শিক্ষককে জানিয়েছে তার মাথা ব্যাথা করছে। তার মাথায় মলম লাগিয়ে বিশ্রামে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর শুভকে নাস্তার খাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে তার মুখ দিয়ে লালা ঝড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুভর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এছাড়া শুভকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামগঞ্জ থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।