Dhaka , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আনন্দ টিভি থেকে বরখাস্ত হলেন ‘প্রশান্ত’ গণঅভ্যুত্থান যখন হয় এটা আইন মেনে চলে না এটা আইন ভাঙার জন্য হয়:ফরহাদ মজহার লক্ষ্মীপুরে গুলীবিদ্ধ আমিনার শয্যাপাশে জামায়াত নেতা :ড.রেজাউল লক্ষ্মীপুরে বিএনপি দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ১ শহিদদের রক্তের বদলা নিতে ‘যে অঙ্গীকার’ করলেন শিবির সভাপতি আ.লীগ নিষিদ্ধে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না : মাহফুজ আলম বাংলাদেশেকে নিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে: এ্যানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : ফয়েজ আহম্মদ লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিশু গুলিবিদ্ধ চুরির অপবাদে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪

৭৩ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন মানিকগঞ্জের খামারির

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • ১২৫ Time View

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির জন্য প্রায় ৭৩ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা। এরমধ্যে জেলাজুড়ে এবার কোরবানির পশু চাহিদা রয়েছে ৩৫ হাজারের কিছু বেশি। এই হিসেবে চাহিদার তুলনার এবার প্রায় ৩৭ হাজারের মতো কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যাবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম টুকু মিয়া সোমবার (৫ জুন) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নিজ জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে এখানকার উদ্বৃত্ত পশু রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার মানিকগঞ্জ জেলায় কোরবানির জন্য ছোট-বড় মিলে ৯ হাজার ৬৬৯টি খামারে মোট ৪৬ হাজার ৯৮টি গরু, ৩৮টি মহিষ ছাড়াও ২২ হাজার ছাগল, ৪ হাজার ৭২৯টি ভেড়া এবং ৮১টি অন্যান্য পশু রয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় কোরবানির জন্য সর্বমোট পশু প্রস্তুত রয়েছে ৭২ হাজার ৯৪৬টি পশু। যারমধ্যে জেলায় এ বছর কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৩টি। সেই হিসেবে উদ্বৃত্ত থাকছে ৩৭ হাজার ৫৬৩টি পশু।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে ঘিরে পশুগুলোর বেশি যত্ন নিতে বাড়ির উঠানেই লালন-পালন করছেন খামারিরা। সেই সঙ্গে হাটে উঠাতে ঘাস-খড় খাইয়ে পশুগুলো মোটা-তাজা করছেন।

জেলার বেশ কয়েকজন খামারির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পশু মোটা-তাজাকরণে তারা ধানের কুরা ছাড়াও গমের ভুসি, মাঠের কাঁচা ঘাস, খড়, আখের রসের নালী খাওয়াচ্ছেন পশুগুলোকে। তবে কোনোপ্রকার ‍ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে না। আর এ কারণে বর্তমান সময়েও তীব্র গরমের মাঝেও পশুগুলো সুস্থ-সবল রয়েছে।

পশু আমদানি না করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দেশের পশুতেই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। এ জন্য কোরবানির পশু অন্য দেশ থেকে না আনার দাবি জানাচ্ছি। কারণ, পশুর খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আবার খামারে কিংবা বাসা-বাড়িতে লালন-পালন করতেও অনেক টাকা খরচ হয়। ফলে কোরবানির হাটে সঠিক দামে পশু বিক্রয় করতে না পারলে বিপদে পরে যাবেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম টুকু মিয়া বলেন, মানিকগঞ্জে চাহিদার চেয়ে ৫৫ শতাংশ কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। যেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করা হবে। এখানকার পশুগুলোকে খামারিরা প্রাকৃতিক ঘাস ছাড়াও খড়, ভুসি, কুরা খাইয়ে লালন-পালন করে মোটা-তাজা করছেন। সে জন্য এই জেলার পশুর চাহিদা থাকে বেশি।

সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতিবছরই আমাদের জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা জেলা থেকেই পূরণ হয়। আর উদ্বৃত্ত পশু ব্যাপারিরা খামারিদের কাছ থেকে কিনে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রয় করে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। ঈদের কয়েকদিন আগেই জেলার হাটগুলোতে বিক্রয়ের জন্য উঠবে কোরবানির পশু। সেই সঙ্গে প্রতিটি হাটেই প্রশাসনের লোক থাকবে বলেও জানান তিনি।

Tag :
About Author Information

zahirul islam

আলোচিত

অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আনন্দ টিভি থেকে বরখাস্ত হলেন ‘প্রশান্ত’

৭৩ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন মানিকগঞ্জের খামারির

Update Time : ০১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির জন্য প্রায় ৭৩ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা। এরমধ্যে জেলাজুড়ে এবার কোরবানির পশু চাহিদা রয়েছে ৩৫ হাজারের কিছু বেশি। এই হিসেবে চাহিদার তুলনার এবার প্রায় ৩৭ হাজারের মতো কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যাবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম টুকু মিয়া সোমবার (৫ জুন) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নিজ জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে এখানকার উদ্বৃত্ত পশু রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার মানিকগঞ্জ জেলায় কোরবানির জন্য ছোট-বড় মিলে ৯ হাজার ৬৬৯টি খামারে মোট ৪৬ হাজার ৯৮টি গরু, ৩৮টি মহিষ ছাড়াও ২২ হাজার ছাগল, ৪ হাজার ৭২৯টি ভেড়া এবং ৮১টি অন্যান্য পশু রয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় কোরবানির জন্য সর্বমোট পশু প্রস্তুত রয়েছে ৭২ হাজার ৯৪৬টি পশু। যারমধ্যে জেলায় এ বছর কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৩টি। সেই হিসেবে উদ্বৃত্ত থাকছে ৩৭ হাজার ৫৬৩টি পশু।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে ঘিরে পশুগুলোর বেশি যত্ন নিতে বাড়ির উঠানেই লালন-পালন করছেন খামারিরা। সেই সঙ্গে হাটে উঠাতে ঘাস-খড় খাইয়ে পশুগুলো মোটা-তাজা করছেন।

জেলার বেশ কয়েকজন খামারির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পশু মোটা-তাজাকরণে তারা ধানের কুরা ছাড়াও গমের ভুসি, মাঠের কাঁচা ঘাস, খড়, আখের রসের নালী খাওয়াচ্ছেন পশুগুলোকে। তবে কোনোপ্রকার ‍ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে না। আর এ কারণে বর্তমান সময়েও তীব্র গরমের মাঝেও পশুগুলো সুস্থ-সবল রয়েছে।

পশু আমদানি না করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দেশের পশুতেই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। এ জন্য কোরবানির পশু অন্য দেশ থেকে না আনার দাবি জানাচ্ছি। কারণ, পশুর খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আবার খামারে কিংবা বাসা-বাড়িতে লালন-পালন করতেও অনেক টাকা খরচ হয়। ফলে কোরবানির হাটে সঠিক দামে পশু বিক্রয় করতে না পারলে বিপদে পরে যাবেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম টুকু মিয়া বলেন, মানিকগঞ্জে চাহিদার চেয়ে ৫৫ শতাংশ কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। যেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করা হবে। এখানকার পশুগুলোকে খামারিরা প্রাকৃতিক ঘাস ছাড়াও খড়, ভুসি, কুরা খাইয়ে লালন-পালন করে মোটা-তাজা করছেন। সে জন্য এই জেলার পশুর চাহিদা থাকে বেশি।

সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতিবছরই আমাদের জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা জেলা থেকেই পূরণ হয়। আর উদ্বৃত্ত পশু ব্যাপারিরা খামারিদের কাছ থেকে কিনে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রয় করে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। ঈদের কয়েকদিন আগেই জেলার হাটগুলোতে বিক্রয়ের জন্য উঠবে কোরবানির পশু। সেই সঙ্গে প্রতিটি হাটেই প্রশাসনের লোক থাকবে বলেও জানান তিনি।