নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় লক্ষ্মীপুর জেলা সিএনজি, অটো রিক্সা, মিশুক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে সিএনজি চালকরা, তাদের পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুলিশ অন্যায় ভাবে যেখানে সেখানে হয়রানি, চাঁদাবাজি ও মামলা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত সিএনজি অটোরিকশার প্রশাসন ও চাঁদাবাজ দালালদের অত্যাচার সহ্য করে আসছি। সামন্য অপরাধের কারণে সিএনজি চালকদের জেল জরিমানা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের উপর যারা হামলা করেছে, তাদের গ্রেফতার করুন। কিন্তু অন্যায় ভাবে ২০০ শ্রমিকের নামে মামলা দিয়ে যাকে তাকে মামলায় অভিযুক্ত করতে পারেন না৷ মামলা বানিজ্য করতে দেওয়া হবেনা।পুলিশের করা মামলা এবং গ্রেফতারের কারনে তাদের পরিবার নিয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তারা অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহার এবং সিএনজি চালকদের মুক্তি দাবি করেন। এসময় বক্তারা আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল হলেও সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে চলমান হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান। সিএনজি চালকদের হয়রানি বন্ধ ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, সিএনজি অটোরিকশা মিশুক শ্রমিক ইউনিয়েনের সভাপতি আল ইমাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক সোরভ হোসেন ভুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনছুর আহম্মেদ সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন সিএনজিসহ সড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করছে। অবৈধ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকে শহরের বাড়বাড়ির মেঘনা সড়কের মুখে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে। এসময় কয়েকটি বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি সিএনজি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। এঘটনার জের ধরে সিএনজি চালকরা ট্রাফিক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন জুয়েল বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। পরে পুলিশ এই মামলায় আটক ১১জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১জনকে আটক করা হয়।