Dhaka , শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রায়পুরে পূর্ব শত্রুতার জের পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন রায়পুর পাবলিক লাইব্রেরি সংষ্কার হলে উপকৃত হবেন পাঠক’ লক্ষ্মীপুরে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার  দাবিতে মানববন্ধন লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সিএনজি চালকদের হামলায়, তিন পুলিশসহ আহত ৪ লক্ষ্মীপুর প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি লক্ষ্মীপুরে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল  কমলনগরে ট্রাক্টরট্রলির চাপায় চটপটি বিক্রেতার মৃত্যু  এবার নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষনার দাবিতে উত্তাল লক্ষ্মীপুর : কমলনগরে দখলেে দূষণে মৃত জারিরদোনা খাল

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১৪ 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
  • ৭৬ Time View
নিজস্ব  প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
ভিকটিম মামুনুর রশিদ সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম, কাউছার ওরফে ছোট কাউছার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত থাকায় তখনকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে জিসান বাহিনীর সদস্যরা মামুনকে হত্যার জন্য হুমকি দিতো। পরে জিসান র‍্যাবের হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এতে জিসানের ছোটভাই তুহিন সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান হয়ে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছিলেন। আর এ সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগীতা করে মামুন।
এদিকে সন্ত্রাসী জিসান হত্যার ঘটনায় মামুন ও ওমর ফারুক নামে আরও এক ব্যক্তিকে দায়ী করে তুহিন। এ কারণে বাহিনীর সক্রিয়দের নিয়ে মামুন ও ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করে তুহিন।  ২০১৫ সালের ১৮ মে রাতে মামুনকে আসামিরা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামে আসামিরা গুলি করে হত্যা করে। পরদিন মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত  ১৪-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হাক্কানি আদালতে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন ও ২ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। রায়ে রাষ্ট্র পক্ষ সন্তুষ্ট।
Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

রায়পুরে পূর্ব শত্রুতার জের পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১৪ 

Update Time : ০১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
নিজস্ব  প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
ভিকটিম মামুনুর রশিদ সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম, কাউছার ওরফে ছোট কাউছার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত থাকায় তখনকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে জিসান বাহিনীর সদস্যরা মামুনকে হত্যার জন্য হুমকি দিতো। পরে জিসান র‍্যাবের হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এতে জিসানের ছোটভাই তুহিন সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান হয়ে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছিলেন। আর এ সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগীতা করে মামুন।
এদিকে সন্ত্রাসী জিসান হত্যার ঘটনায় মামুন ও ওমর ফারুক নামে আরও এক ব্যক্তিকে দায়ী করে তুহিন। এ কারণে বাহিনীর সক্রিয়দের নিয়ে মামুন ও ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করে তুহিন।  ২০১৫ সালের ১৮ মে রাতে মামুনকে আসামিরা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামে আসামিরা গুলি করে হত্যা করে। পরদিন মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত  ১৪-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হাক্কানি আদালতে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন ও ২ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। রায়ে রাষ্ট্র পক্ষ সন্তুষ্ট।